লালমাই,কুমিল্লা | | বঙ্গাব্দ

কুমিল্লার আওয়ামীপন্থি ৩৩ ইউপি চেয়ারম্যান এখনও বহাল তবিয়তে

author
Reporter

প্রকাশিত : Oct 19, 2025 ইং
আওয়ামী লীগের লোগো। ছবির ক্যাপশন: আওয়ামী লীগের লোগো।
ad728
আলোকিত লালমাই অনলাইন।। 

সরকারের পট পরিবর্তনের পরও বহাল তবিয়তে দায়িত্ব পালন করছেন আওয়ামীপন্থি ৩৩ ইউপি চেয়ারম্যান । এ সময় তাদের একটি রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সমন্বয়কদের কিছু নেতাকে নানাভাবে সুবিধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

ফলে সরকার পতনের দীর্ঘ ১৪ মাসেও আওয়ামী সমর্থিত এসব চেয়ারম্যান প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এ সুযোগে তারা নিয়মিত পালিয়ে থাকা দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে শেখ হাসিনাকে আবারও দেশে ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র করছেন বলে জানা গেছে। 

এই তালিকায় রয়েছেন বুড়িচং-৮ জন, লালমাই-৮ জন, ব্রাহ্মণপাড়া-৫ জন, নাঙ্গলকোট-৪ জন, বরুড়া-৭ জন এবং সদর দক্ষিণ উপজেলার ১জন ইউপি চেয়ারম্যান। 

সরেজমিনে ঘুরে বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবরে জানা যায়, বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় কুমিল্লার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে নির্বাচনের সময় বিরোধী মতের কোনো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছিল না। বেশিরভাগ স্থানে প্রতিদ্বন্দ্বীও ছিল না। তবে যারা প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তার সবটাই আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। 

অভিযোগ রয়েছে, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার অন্তর্গত সাবেক অর্থ মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) এর নির্বাচনী এলাকা লালমাই উপজেলার আট চেয়ারম্যান হচ্ছেন - বাগমারা উত্তর ইউপির চেয়ারম্যান আবুল কাসেম, বাগমারা দক্ষিণ লোকমান, বেলঘর উত্তর আব্দুল মালেক, বেলঘর দক্ষিণ গাজী, ভোলাইন উত্তর এমরান কবির, ভোলাইন দক্ষিণ মুজিবুর রহমান, পেরুল উত্তর আনোয়ার হোসেন দুলাল, পেরুল দক্ষিণ খন্দকার সাইফুল্লাহ । 

একই নির্বাচনী এলাকা নাঙ্গলকোটের চার ইউপি'র চেয়ারম্যানরা হচ্ছেন- সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের শেখ কবির টুটুল, বক্সগঞ্জের আব্দুর রশিদ, রায়কোট উত্তরের মাস্টার রফিকুল ইসলাম ও বাঙ্গড্ডার সাইফুল ইসলাম । 

বিগত ইউপি নির্বাচনে তারা নিজ নিজ এলাকায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতেই দেয়নি। হামলা-মামলা, জমি দখল, চাঁদাবাজি সর্বক্ষেত্রেই ছিল তাদের বিচরণ। ২৪ এর ৫ আগস্ট পরবর্তী সাধারণ মানুষ তাদের গ্রেপ্তারসহ বিচারের অপেক্ষায় ছিল।

কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বিএনপির একটি প্রভাবশালী অংশ ও ছাত্র সমন্বয়কদের একটা সুবিধাবাদী অংশ অনৈতিক সুবিধা নিয়ে তাদেরকে নিরাপদে দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দিচ্ছে। একইভাবে আ.লীগ অধ্যুষিত সাবেক আইন-বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের কারিগর অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুর কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের বুড়িচং উপজেলার চেয়ারম্যানরা হচ্ছেন-  মোকাম ইউনিয়নের সাহেব আলী, ময়নামতির লালন হায়দার, ভারেল্লা উত্তর ইস্কান্দর আলী, ভারেল্লা দক্ষিণ ওমর ফারুক, রাজাপুরের আব্দুল করিম, পীর যাত্রাপুর হাজী আবু তাহের, বাকশীমুল এর আবুল কাসেম, ষোলনল হাজী বিল্লাল এবং ব্রাহ্মণপাড়ার জহিরুল হক, শিদলাই সাইফুল ইসলাম, মাধবপুরের ফরিদ উদ্দিন, সাহেবাবাদ এর ভিপি মনিরুল বিল্লাল এবং শশীদল আতিকুর রহমান। 

বরুড়ায় দুটি স্বতন্ত্রসহ মোট সাতটি ইউপির চেয়ারম্যানরা হচ্ছেন- গালিমপুরের বাচ্চু মিয়া (স্বতন্ত্র), ভবানীপুরের খলিল, আদ্রার লিমন (স্বতন্ত্র), ভাউকসারের মাসুদ, চিতড্ডা'র জাকারিয়া, পয়েলগাছা'র মইন উদ্দীন ও খোশবাস দক্ষিণের আব্দুর রব এবং সদর দক্ষিণের চৌয়ারা ইউনিয়নের সোহাগ এখনো বহাল তবিয়তে দায়িত্ব পালন করছেন। 

আর এ সুযোগে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোর ফাঁকে নিজ মতাদর্শের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এসব জনপ্রতিনিধিরা নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন বলেও অভিযোগ। দায়িত্বশীল সূত্র আরো জানায়, এসব চেয়ারম্যানরা প্রতিটি এলাকায় নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার কাজ করছেন গোপনে। তবে আ.লীগ সরকারের পতনের পরপরই জনরোষে লাকসাম, মনোহরগঞ্জ সদর দক্ষিণ, কুমিল্লা সদর উপজেলার প্রায় সব ইউপি চেয়ারম্যানরা পালিয়ে যায়। 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Reporter

কমেন্ট বক্স
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ আলোকিত লালমাই ডট কম
সকল কারিগরী সহযোগিতায় A2SYS